শিরক বড় অপরাধ কেন?

09/09/2010 00:00
  • "নিঃসন্দেহে আল্লাহ তাকে ক্ষমা করেন না, যে লোক তাঁর সাথে শরীক করে। তিনি ক্ষমা করেন এর নিম্ন পর্যায়ের পাপ, যার জন্য তিনি ইচ্ছা করেন। আর যে লোক অংশীদার সাব্যস্ত করল আল্লাহর সাথে, সে যেন অপবাদ আরোপ করল।" -সূরা নিসা, আয়াত ৪৮,আল কোরান।
  • "Thou shalt have no other gods before me"-Deuteronomy 5:7  "I am Yahweh your God, who brought you out of the land of Egypt, out of the house of bondage. You shall have no other gods before me. You shall not make for yourselves an idol, nor any image of anything that is in the heavens above, or that is in the earth beneath, or that is in the water under the earth: you shall not bow yourself down to them, nor serve them"-Exodus 20:2-6 (WEB)

দেখা যাচ্ছে ইব্রাহীমি ধর্ম গুলি শিরকের ব্যাপারে একদম পরিষ্কার এবং ইসলাম এ ব্যাপারে একেবারেই আপোষহীন। তথাপি কি হতে পারে শিরক বড় কারন হবার? এর উত্তর আল্লাহ পাকই ভাল জানেন। শুধু বুঝার জন্য একটি অনুসন্ধানঃ

  1. শিরক বড় গুনাহ হবার কারণ হল, তাতে আল্লাহর পবিত্রতার উপর অপবাদ দেওয়া হয়। আপনারা জানেন আল্লাহ পাকের ছেলে মেয়ে বউ স্বামী কিছুই নাই। এগুলো হল মানুষের বৈশিষ্ট। এবং বহু মানুষেই বহু ধরনের অপরাধে অপরাধি, কোন কোন ক্ষেত্রে নির্লজ্ব, সম্মান দেওয়া যায়না এমন পর্যায়ের অন্তর্ভুক্ত। যদি আল্লাহ পাকের সাথে কাউকে শরিক করেন, যেমন ধরুন আল্লাহ পাকের পুত্র আছে। তাহলে আল্লাহ পাককে মানুষের স্থরে নামিয়ে আনলেন, মানে পুত্র থাকলে বউ-স্বামীও থাকবে। যাহা আল্লাহ পাকের সম্মানের প্রতি সরাসরি অপবাদ দেওয়া, আরেক অর্থে গালি দেওয়া। যাকে আল্লাহ পাক সৃষ্টি করলেন, সেই আল্লাহ পাককে গালি দেয় বা অপবাদ দেয় বিষয়টা কেমন পর্যায়ের অকৃতজ্ঞতা?
  2. যদি আপনি আপনার আসল মা-বাবাকে ফেলে অন্য কাউকে মা-বাবা হিসাবে গ্রহন করেন এবং আসল মা-বাবাকে গালি দেন তাহলে তারা কেমন ফিল করবেন? আপনার সন্তান যদি এই কাজ করে, তাহলে আপনি কি ফিল করবেন? এটা কি মহা অন্যায় নয়? ধরুন আমরা মানুষরা রোবট বানালাম। পুরো একটা রোবট সিস্টেম বানানো হল। তারা মালিক হিসাবে অন্য কাউকে নিয়ে টারমিনেটর ছবির মত আমাদের গালি দেওয়া বা মারা শুরু করল। তাহলে বিষয়টা কেমন পর্যায়ের অকৃতজ্ঞতা হল?  তাহলে মহান আল্লাহ আপনাকে সৃষ্টি করলেন, আপনি পুজা করেন আরেকজনের। যে আল্লাহ আপনাকে সৃষ্টি করলেন, তার প্রতি অকৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলেন।
  3. যুদ্ধের দরকারে বর্তমানে ন্যাশনালিজম বা জাতিয়তাবাদ আবিষ্কার করা হয়েছে। কিন্তু আগে যুদ্ধের দরকারে (যা বর্তমানেও আধুনিক পদ্ধতিতে করা হয়) অপরাধী রাজনিতিবিদরা বিভিন্ন প্রকার গড তৈরি করত। মনে করুন, কেউ পুজা করে জিউসের, কেউ পুজা করে হেরার, কেউ পুজা করে এপোলোর। একেক গড যুদ্ধে একেক দলের পক্ষে। আর সাধারণদের একে অপরের সাথে যুদ্ধ লাগিয়ে রাখা হত ঐ সব ফেইক গডদের নামে। মানে আল্লাহ পাকের সাথে শিরক করে নিরিহ জনগনের রক্ত ঝরানোর পরোক্ষ কারন হওয়া।
  4. যদি এক আল্লাহ পাকের কথা মানুষের না জানা থাকে, তাহলে তারা বিভিন্ন প্রকার অদৃষ্টি কেও বিশ্বাস করবে (বা করত)। যেমনঃ  নদী কল্লা চায়, কুমারী কন্যার সেকরিফাইস চায় ইত্যাদি অপ-বিশ্বাস। যা দ্বারা বহু নিরিহ মানুষের রক্ত ঝরার কারণ হয়।
  5. এক আল্লাহ পাকের ধারণা না থাকলে, বিচার বলে কিছু থাকে না। কারণ সেই ক্ষেত্রে, এক গডকে অন্য গডের বিচার করতে হবে। সেই ক্ষেত্রে গডদের মধ্যে দলাদলি হবে, পরিনামে একপক্ষ আরেক পক্ষের শক্তির খেলা বজায় থাকবে। অর্থ্যাত, এক ঈশ্বর না থাকলে শেষ বিচারের ধারণাও বাতিল হয়ে যায়। অর্থ্যাত পৃথিবীতে ঘটা সকল প্রকার অপরাধ বিচারহীন থাকবে। এই ধারণা মানুষের বিশ্বাসে থাকলে তারা অপরাদ করতে বিরত হবে না, বা হতে চাইবে না।
  6. অর্থ্যাত, এক আল্লাহ পাকে বিশ্বাস না করলে বা আল্লাহ পাকের সাথে শিরক করলে, বিভিন্ন প্রকার কুসংষ্কারের লাইসেন্স দেওয়া হয়। যার দ্বারা বহু অন্যায়ের দরজার খুলে দেওয়া হয়।

এটি একটি আলোচনামূলক পোস্ট। আপনাদের মূল্যবান কথা সংযুক্ত করা হবে।